নিউজ ফ্রন্টলাইনার ওয়েবডেস্ক, ৯ই এপ্রিল:আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র টি ১৯৭৭ সালে গঠিত হয়,প্রতি লোকসভাতেই আরএসপি বামফ্রন্টের শরিক হিসেবে এই কেন্দ্রে কোদাল চিহ্নে হয় হয়েছেন।উত্তরবঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল এই আলিপুরদুয়ার এক বাক্যে বাম দুর্গ বলা যেতেই পারে,একমাত্র ২০১৪ সালে এখানে প্রথমবারের জন্য ঘাস ফুলের দাপট দেখা যায় যদিও জয়ের ব্যবধান মাত্র ২ শতাংশের বেশি বামফ্রন্টের থেকে।সেবার ব্যাপক ভাবে ভোট বৃদ্ধি করে বিজেপি ,সেই নিরিখে এবারের নির্বাচন বেশ আকর্ষণীয়।আলিপুরদুয়ার মূলত ৭ টি বিধানসভা নিয়ে গঠিত গত বিধানসভায় বিজেপি র ভোট ব্যাপক বৃদ্ধি পায় এলাকায় এর মধ্যে ২ টি বিধানসভায় তারা দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে।এবারের নির্বাচনে আদিবাসীদের ভোটে থাবা বসাতে বিজেপি র পক্ষ থেকে জন বরলা দাঁড়িয়েছে,রাজনৈতিক মহলের মতে জন বরলা যদিও আদবাসিসদের নেতা ,গোর্খাল্যান্ড নিয়ে তার সমর্থন এলাকায় ব্যাপক অংশে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে ফলস্বরূপ বারলার সমর্থনের ভাটা বামদের দিকে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দশরথ টিরকের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আরেকটি অংশ,অভিযোগ চা বাগানের শ্রোণীক দের সমস্যা নিয়ে তিনি সেভাবে সামনের সারিতে ছিলেন না ,উল্টে চা শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোনো প্রশ্ন গত পাঁচবছরে তিনি তোলেন নি বলে অভিযোগ।অন্যদিকে দশরথ টিরকে বলেন বন্ধ চা বাগানের পাশে রাজ্য সরকার সবসময়,শ্রমিকদের খাদ্য সুরক্ষার প্রশ্নে বিভিন্ন স্কিম চলছে এলাকায়।
এবারের নির্বাচনে চ বাগান একটা বড় ইস্যু হতে চলেছে,বিগত ৩ বছর ধরে লাগাতার আন্দোলনে বাম চা শ্রমিক সংগঠন গুলি সেই আন্দোলনের ফসল ভোট বাক্সে পরে কিনা তা সময় ই বলবে,এবারের বাম প্রার্থী মিলি ওরাও নতুন মুখের পাশাপাশি চা শ্রমিক সংগঠনের অন্যতম মুখ তার পরিষ্কার কথা প্রতিশ্রুতি নয় লড়াইয়ের বার্তা সংসদে পৌঁছে দিতে ই এবারে বাম প্রার্থী কে নির্বাচিত করুন।মহিলা প্রার্থী হওয়ার সুবাদে ঘরের অন্দরমহলে পৌঁছে যাচ্ছে ,আলিপুরদুয়ারে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে মিলি যাক এবার ।ভোটসমিকরণে কয়টা প্রভাব ফেলতে পারবে বাম? হারানো জমি কী ফেরত আসবে বামে? অনেক গুলি প্রশ্ন উকি দিচ্ছে ,আপাতত অপেক্ষা ১১ই এপ্রিল ।বিকেল নেমে সন্ধে নিস্তব্ধ অন্ধকারের মাঝে প্রদীপের আলোতে সুখী ওরাও পড়ে চলেছে বামফ্রন্টের আবেদন পত্র,ফ্রন্টলাইনারের লেন্স বন্ধ করে এন জে পি র পথে আমরা, দূরে আরো দূরে তখন চা বাগান প্রস্তুত আগামীর লড়াইতে।