নিউজ ফ্রন্টলাইনার ওয়েবডেস্ক, ১১ ই অক্টোবর : এক চাঞ্চল্যকর সমীক্ষায় উঠে এল মার্চ মাসে কোভিড অতিমারীর কারণে যখন থেকে লকডাউন ঘোষিত হয়েছে, তখন থেকে সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত ভারতের ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানী তাঁর সম্পদ প্রতি ঘন্টায় 90 কোটি টাকার হিসেবে বাড়িয়েছেন। আই আই এফ এল ওয়েলথ হুরুন ইন্ডিয়ার আজকে প্রকাশিত রিচ লিস্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
খবরে প্রকাশ, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মুকেশ আম্বানী, যিনি পরপর ন বছর ধরে সর্বোচ্চ সম্পদশালী ভারতীয়ের খেতাব জিতেছেন, তাঁর সম্পদ 277000 কোটি টাকা থেকে 658000 কোটিতে পৌঁছেছে।
করোনা অতিমারীতে যেখানে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত, দেশের কয়েক লক্ষ মানুষ যেখানে তাঁদের রোজগার হারিয়েছেন, সেই সময়ে আম্বানীর এই শ্রীবৃদ্ধি বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে 63 বছর বয়স্ক এই শিল্পপতি, যাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের দহরম মহরম ইতিমধ্যেই এক বহুলচর্চিত বিষয়, তিনি ভবিষ্যৎ সম্পদবৃদ্ধির পরিকল্পনায় চিনের আলিবাবার সমগোত্রীয় এক ই-বাণিজ্য সংস্থা তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন।
দেশের বিরোধী রাজনীতিকরা দীর্ঘদিন ধরেই মুকেশ আম্বানীর সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আঁতাতের অভিযোগ করে আসছে। অতিমারীর সময়ে খুব স্বাভাবিক ভাবেই যেখানে অধিকাংশ ছোট এবং মাঝারি শিল্পসংস্থা বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, সেখানে আম্বানী বা আদানিদের এই শ্রীবৃদ্ধি সত্যিই সন্দেহের অবকাশ রাখে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন। সংসদের সদ্যসমাপ্ত অধিবেশনে বিরোধীদের অনুপস্থিতিতে কৃষিবিল পাশ করিয়ে মোদি সরকার আদতে রিলায়েন্স রিটেলস এর মত সংস্থাকে বেলাগাম মুনাফা করার সুযোগ করে দিতে চায় বলে বামদলগুলি ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে।
আম্বানীর এই চমকপ্রদ ‘কৃতিত্ব’ এবং দেশের বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থায় কর্মীসংকোচনের ঘটনাপ্রবাহের মধ্যেই আরেকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফ্যামের প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট বিশেষজ্ঞ মহলে কৌতূহল জাগিয়েছে। অক্সফ্যামের রিপোর্টে বলা হয়েছে আমাজনের মালিক জেফ বেজোস যদি তার ৮,৭৬,০০০ কর্মীদের প্রত্যোক কে ১,০৫,০০০ ডলার বোনাস দিত চান, তাতেও তিনি অতিমারীর আগে যতটা ধনী ছিলেন ততটাই ধনী থাকবেন। এইখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে কর্মীসংকোচন বা বেতন কাটার মত অমানবিক কাজ করতে দেশের বেসরকারী সংস্থাগুলি এত আগ্রহী কেন।