নিউজ ফ্রন্টলাইনার ওয়েব ডেস্ক, দিন্দরী, ২১ শে এপ্রিল:আবার একটি লং মার্চের প্রস্তুতি ,সরকারের কাছে নয় সরকার বদলের লক্ষ্যে।নাসিক থেকে শুরু হলো তৃতীয় বারের জন্য প্রায় ৫০০০ কৃষক সামিল হলো এই মার্চে,যদিও গত দুটি মার্চে সরকার প্রায় নতি স্বীকার করে নেয়।কিন্তু এবারের লং মার্চ এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় কৃষক নেতা জে পি গাভীত কে লোকসভায় পাঠানোর লক্ষ্যে।দিন্দরী লোকসভায় এবারে বাম প্রার্থী গাভীত স্থানীয় সিপিআইএম বিধায়ক,গাভীত এখন বিধায়ক হিসেবে কম পরিচিত রাজ্যে কৃষকদের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।কৃষকের লং মার্চ মহারাষ্ট্র ছড়িয়ে প্রচার ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশ সহ বিদেশেও।নেতৃত্বে উঠে এসেছিল গাভীত,সেই গাভীত কে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে দিন্দরী কৃষক পরিবার এবার যে সংসদে পাঠাতেই হবে তাকে সংসদে।
সিপিআইএম এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দিন্দরী মূলত কৃষক অধ্যুষিত অঞ্চল লোকসভার ৯ মহকুমা মিলিয়ে প্রায় ৫০০০ গ্রাম রয়েছে যার অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী ।ঐতিহাসিক লং মার্চ সফল হয়েছিল মূলত এই অঞ্চলের কৃষকদের উপস্থিতিতেই।আবার তিন দিনের লং মার্চের প্রস্তুতি প্রায় ৫০০০ কৃষকের ,খাবার ,জল সঙ্গে নিয়ে লং মার্চে শামিল কৃষকরা।লং মার্চ মূলত তিন দিন ধরে চলবে ১০ টি গ্রাম অঞ্চলে এই মার্চ টি ২১ শে এপ্রিল পর্যন্ত চলবে মিছিলের সঙ্গে থাকবে লাল ঝান্ডা,লাল টুপি আর কিছু পোস্টার গাভীত কে নির্বাচিত করার আহবান নিয়ে।
স্থানীয় এক সিপিআইএম নেতার বক্তব্যে উঠে এলো ,প্রচারে বহুল পরিমানে অর্থের যোগান করা সম্ভব হচ্ছে না তাই প্রতিটি বাড়ি যাওয়ার সংকল্প নেওয়া হচ্ছে ,মূলত কৃষকরাই গাভীত এর নির্বাচনী প্রচারে সৈনিক ।এক অদম্য জেদ গাভীত এর প্রচারে মূলধন,সেই জেদ সংসদ অবধি পৌঁছে দেওয়ার লড়াই চলছে পুরো দিন্দরী জুড়েই।
মিছিলে অংশগ্রহণ কারী বিজাবাই এর কথায় কৃষকদের যন্ত্রণার কথা এবার সংসদে শোনা যাবে,সমস্ত কৃষক রা আজ ঐক্যবদ্ধ তাদের নেতা গাভীত কে সংসদে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে।
পেশায় দোকানদার রাজেন্দ্রর কথায় তিনি কৃষক নন কিন্তু এলাকার ভূমিপুত্র গাভীতকেই সমর্থন করবেন যে ভাবে কৃষকদের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি আদায়ে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে লড়াই চালিয়েছেন তিনি আজ ভরসার প্রতীক এলাকা জুড়ে।তিনি সংসদে যাওয়ার যোগ্যতম ব্যক্তি।শুক্রবার শুরু হওয়া লং মার্চ প্রায় ৫ টি গ্রাম ঘুরে আজ রবিবারে আরো ৫ টি গ্রাম ঘুরবে ,রাত্রে গ্রামে ই থাকছেন তারা সেখানেও বিশ্রামের ফাঁকে প্রচার।যেভাবে লড়াইয়ের মাধ্যমে দাবি ছিনিয়ে এনেছেন এলাকার কৃষক রা ঠিক তেমনি ভাবেই সম্মিলিত উদ্যোগে জয় ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে দিন্দরী প্রস্তুত ,ইভিএম মেশিনে তার রায় কতটা প্রভাব বিস্তার করবে তার জন্য অপেক্ষা ২৩ শে মে।